
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই প্রায় ২০টি দেশের কাছ থেকে “গুরুত্বপূর্ণ” বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছে এবং এর মধ্যে দুটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক কেভিন হ্যাসেট।
তবে চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য সংঘাতের কোনো সমাধান এখনো দৃষ্টিগোচর নয়। চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের হার এখন দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশ, যা হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে। এই হার পূর্বের ২০ শতাংশের ওপর বাড়িয়ে বুধবার ঘোষণা করা ১২৫ শতাংশের যোগফলে দাঁড়ায়।
হ্যাসেট বৃহস্পতিবার CNBC-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দুটি বাণিজ্য চুক্তির আইনি দিক নিয়ে কাজ করছেন উভয় দেশের আইনজীবীরা এবং অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রে ১০% ‘বেসলাইন’ শুল্ক হার বহাল থাকবে। “প্রেসিডেন্ট এই ১০% হার কমাতে প্রস্তুত হবেন কেবলমাত্র কোনো ‘অসাধারণ চুক্তি’ হলে,” বলেন হ্যাসেট।
এদিকে বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়নি, সেইসব দেশের জন্য আগামী ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত থাকবে। এই ঘোষণায় বুধবার মার্কিন শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার সকালে আবারও বড় ধরনের পতন ঘটে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়টি লক্ষ করেছি। আমরা আলোচনার জন্য একটি সুযোগ দিতে চাই।”
চীনের সঙ্গে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বেইজিং বৃহস্পতিবার ৮৪% শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন পণ্যের ওপর, যা পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, “আমরা একযোগে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং প্রশমনের চিত্র দেখতে পাচ্ছি, যা বাজারকে বিভ্রান্ত করছে।” ট্রাম্প বলেন, “চীন একটি চুক্তি করতে চায়, কিন্তু কীভাবে করবে তা বুঝতে পারছে না।”