
হোয়াইট হাউস বলেছে, মধ্যপ্রাচ্য সফরে আরও দেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প, তুরস্ক সফরের জল্পনা” এই সফরের অংশ হিসেবে আরও কিছু দেশ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আমরা বিস্তারিত নিয়ে কাজ করছি,” বলেন কারোলাইন লেভিট
ওয়াশিংটন
হোয়াইট হাউস শুক্রবার জানিয়েছে, আগামী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আরও কিছু দেশে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনকি তুরস্ক সফর নিয়ে প্রশাসন চিন্তা করছে বলেও জল্পনা রয়েছে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারোলাইন লেভিট বলেন,
“আমি প্রেসিডেন্টের বিদেশ সফর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানি না, শুধু এটুকু বলতে পারি যে তিনি সৌদি আরব যাচ্ছেন এটা নিশ্চিত। এই সফরের অংশ হিসেবে আরও দেশ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আমরা এখনো বিস্তারিত পরিকল্পনা করছি।”
সিএনএন বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প তার আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় তুরস্ক যুক্ত করার কথা ভাবছেন। তবে সূত্র বলছে, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং সফরের বিস্তারিত এখনও চূড়ান্ত হচ্ছে।
এক সিনিয়র হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা সিএনএন-কে জানান, ট্রাম্প সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে সম্ভাব্য সফর নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানানোর সময় এরদোয়ানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “তুরস্ক এবং তাদের নেতার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”
এরদোয়ানকে তিনি বর্ণনা করেন, “একজন কঠোর নেতা, খুবই বুদ্ধিমান এবং এমন কিছু করেছেন যা অন্য কেউ করতে পারেনি,” উল্লেখ করে বলেন যে, ট্রাম্পের মতে, “সিরিয়ার সাবেক দীর্ঘমেয়াদি শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পেছনে ছিল তুরস্ক।”
যদি এই সফর বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুরস্কে ট্রাম্পের প্রথম সফর। তার পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ. বুশ ২০০৪ সালে তুরস্ক সফর করেছিলেন এবং বারাক ওবামা ২০০৯ ও ২০১৫ সালে দেশটি সফর করেছিলেন।