
হে হোসাইন যে কাজ তুমি আঞ্জাম দিয়েছো, তা দিয়ে মোস্তফার ফুল বাগিচায় বসন্ত এনে দিয়েছো”!
বানী- সুলতানুল হিন্দুস্থান আতায়ে রাসুল হুজুর খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী (রহঃ)
ধর্ম ডেস্ক :
প্রতিটি দিন আশুরা” “প্রতিটি জমিন কারবালা” মাওলা জয়নুল আবেদ্বীন(আঃ)
“মুসলিম সমাজ আজ সচেতন নয়” !!! “শুধু আনুষ্ঠানিক শোক পালন করেই ক্ষান্ত হয়। ইসলামের নামে যা চলছে তা ইসলাম নয়, এ বুঝ না হওয়া পর্যন্ত কারবালার ঘটনা জানা যাবে না।
“স্বরণ রাখতে হবে,মাওলা হোসাইনকে(আঃ) হত্যা করা হয়েছে, মহরম মাসে যে মাসে যুদ্ধ করা মুশরিকদের কাজ” !!!
“কোন সত্যানুসন্ধিস ব্যক্তি যদি ইতিহাসের সঠিক প্রমানসহ কারবালার মূল কারণ অনুসন্ধান করেন তবুও অধিক ক্ষেত্রে তাকে নিরাশ হতে হবে। “কারণ এজিদ পন্থীদের কারসাজীতে সে সত্য আজ এমন ভাবে কুসংস্কাররাচ্ছন্ন হয়ে আছে যে, তা উদ্ধার করা দুরূহ কাজ।
“সত্য জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই, তাছাড়া সত্যকে জানার নামই হল ইসলাম” !!!
“আহলে বাইতের প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করে, আমাদের পবিত্র সালাত শেষ করতে হয়। অর্থ্যাৎ আহলে বাইতের প্রতি সেই নির্দিষ্ট দরুদ ও সালাম পেশ না করে, যদি কেউ নামাজ শেষ করে তাহলে শরিয়ত মোতাবেক তার নামাজ হবে না।
“অথচ এক শ্রেণীর মুসলমান নামধারী, আহলে বাইতের কথা শুনলেই গায়ে জ্বালা ধরে যায়। কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইন(আঃ)কে, বধ করতে দেরী হচ্ছে দেখে সেনাপতি উমর বিন সাদ সৈন্যদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলঃ সৈন্যগণ তাড়াতাড়ি হোসাইনকে হত্যা করতে হবে”!!!
“যাতে আছরের নামাজ কাজা না হয়। অথচ একটু পরেই নামাজের মধ্যে বলবে, “হে” আল্লাহ তুমি মোহাম্মদ(সাঃ) এবং তাঁর বংশধরদের উপর কল্যাণ ও বরকত দান কর” কি সাংঘাতিক নামাজি ???
ইয়া হোসাইন(আঃ) তুমি মাথা নত করো নি
মিথ্যার কাছে তোমার প্রেমিকেরাও করবেনা । জনম জন্মান্তরে , তুমি দেখিয়ে দিয়েছ সূক্ষ্নভাবে আসল আর নকলের কত ফারাক তুমি বুঝিয়ে দিয়েছ দাড়ি টুপি থাকলেই হয়না মুসলমান ।
নামাজ পড়লেই হয়না নামাজি , অনেক সময় হয়ে যায় এটাই দোজখের চাবি । ( সাহাবিরা(রাদিঃ) আমাদের মাথার তাজ আকাশের নক্ষএ তুল্য । কিন্তু তাদের কথা নয় যারা নবীর বংশকে পদে পদে কষ্ট দিয়েছে
“মাওলা হোসাইন(আঃ) এজিদ সৈন্যদের উদ্দেশে যে শেষ ভাষণটি দিয়েছেন তা শুধু এজিদ সৈন্যদের জন্য নয়, বরং কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত মুসলমানের জন্য একটি শিক্ষা। তিনি বললেনঃ তোমরা কি আমাকে চেন না ? চেয় দেখ আমি কে ? আমি রসূল(সাঃ) এর প্রিয়তম দৌহিত্র হোসাইন। আমি খায়বর বিজয়ী শেরে খোদা হযরত আলী মর্তুজার সন্তান।
“আমি খাতুনে জান্নাত ফাতেমাতুয যাহরার স্নেহের লাল।
তোমরা কি নানা জানের মুখে শোন নাই, আমি এবং আমার ভাই হাসান বেহেস্তের সর্দার ? আমি তোমাদের কি ক্ষতি করেছি যে, তোমরা আমাকে হত্যা করতে চাও ? আমাকে হত্যা করে তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর হাবীব(সাঃ)-কে কি জওয়াব দেবে ?
ইয়া হোসাইন(আঃ) তুমি মাথা নত করো নি
মিথ্যার কাছর তোমার প্রেমিকেরাও করবেনা । জনম জন্মান্তরে , তুমি দেখিয়ে দিয়েছ সূক্ষ্নভাবে আসল আর নকলের কত ফারাক তুমি বুঝিয়ে দিয়েছ দাড়ি টুপি থাকলেই হয়না মুসলমান ।
নামাজ পড়লেই হয়না নামাজি , অনেক সময় হয়ে যায় এটাই দোজখের চাবি । ( সাহাবিরা(রাদিঃ) আমাদের মাথার তাজ আকাশের নক্ষএ তুল্য । কিন্তু তাদের কথা নয় যারা নবীর বংশকে পদে পদে কষ্ট দিয়েছে
“অতঃপর তিনি শেষ যে কথটি বললেন তা সত্য এবং মিথ্যাকে, মোমিন ও মোনাফেকদের পৃথকীকরণের জন্য সমস্ত মুসলিম জনগণের কাছে শিক্ষা হয়ে রইল। তিনি বললেনঃ তোমরা কি আমার কথা শুনতে পাও না। তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই ?
এই কথা দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে ইয়াজিদের বাহিনীতে মহানবী (সাঃ)”র যেসব সাহাবী ছিল,তারা সাহাবী থাকা তো দূরের কথা বরং আর মুসলমানই রইলো না তাদের মধ্যে
বিশ্ব কেঁদেছে, কাঁদছে, কাঁদতে থাকবে, যতদিন থাকবে এ বিশ্ব ধরা। কাঁদে নাই তারা যারা ছিল মোয়াবিয়ার ও এজিদের গোলাম। আজ ও কাঁদে না তারা” !!