
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এক শিক্ষার্থীর ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া প্রতীকী প্রতিবাদ এখন একটি দেশব্যাপী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২০০-র বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের নেতৃবৃন্দ একযোগে ‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ’ ও ইসরায়েলপন্থী নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
এই বিবৃতিতে হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, ব্রাউন, কলাম্বিয়া, ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই ও কানেকটিকাট স্টেট কমিউনিটি কলেজসহ দেশজুড়ে বহু খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্টরা স্বাক্ষর করেছেন। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমেরিকার উচ্চশিক্ষা এখন রাজনৈতিক চাপ ও হস্তক্ষেপের এক ভয়াবহ যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে।”
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাষ্য অনুযায়ী, সরকার বর্তমানে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় ‘অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ’ করছে—যা শুধু গবেষণা ও শিক্ষা নয়, বরং ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপরও আঘাত হানছে।
প্রতিবাদকারীরা দাবি করছেন, বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থনের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের পথ প্রশস্ত করছে। এমন অবস্থায় শিক্ষাঙ্গনের পক্ষ থেকে মানবিক, নিরপেক্ষ ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো জরুরি হয়ে উঠেছে।
এদিকে এই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছে বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সমাজকর্মী। ক্যাম্পাসগুলোতে মানববন্ধন, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ, এবং ফিলিস্তিনপন্থী বক্তৃতা-বিতর্কের আয়োজন হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এই আন্দোলন শুধু মধ্যপ্রাচ্যের ন্যায়বিচারের দাবি নয়, বরং এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইও।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই অভূতপূর্ব ঐক্য ভবিষ্যতের শিক্ষা নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে বৈশ্বিক জনমতেও এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।