
বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গ্রিসের বিরুদ্ধে অভিবাসীদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বারবার অভিবাসীদের ‘পুশব্যাক’ (সীমান্ত থেকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো) করায় গ্রিসকে দায়ী করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
ফ্রন্টেক্সের মৌলিক অধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা ইয়োনাস গ্রিমহেডেন সম্প্রতি ইউরোপীয় রাজনীতিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এবং জার্মান দৈনিক ভেল্ট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গ্রিসের চলমান আচরণ ফ্রন্টেক্সকে একটি কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে ফেলেছে— হয় গ্রিসে সংস্থার মিশন স্থগিত করতে হবে, অথবা ইউরোপীয় কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রিসের বিরুদ্ধে ‘ইনফ্রিঞ্জমেন্ট’ (আইন লঙ্ঘন) কার্যক্রম শুরুর জন্য আবেদন করতে হবে।
তবে, ফ্রন্টেক্স কর্মকর্তা মনে করেন, মিশন স্থগিত করা বাস্তবসম্মত নয়, কারণ এতে গ্রিসের সীমান্ত পরিস্থিতির উপর নজরদারির ঘাটতি দেখা দেবে। বরং, তিনি ইউরোপীয় কমিশনের হস্তক্ষেপের উপর জোর দেন।
গ্রিমহেডেন বলেন, “কোনো না কোনোভাবে শাস্তি হওয়া উচিত। কমিশনের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লঙ্ঘন প্রক্রিয়া শুরু করার।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় কমিশন চাইলে গ্রিসের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে ইউরোপীয় অর্থায়নকে যুক্ত করতে পারে। অর্থাৎ, মানবাধিকার রক্ষায় গ্রিস যতটা অগ্রগতি অর্জন করবে, তার ভিত্তিতেই কমিশনের সীমান্ত সহায়তা তহবিল পাওয়া নির্ভর করবে।
এই মন্তব্যগুলো এমন এক সময়ে এসেছে যখন গ্রিসের বিরুদ্ধে একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অভিবাসীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলেছে। যদিও গ্রিস সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, ফ্রন্টেক্সের এ মন্তব্য নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।