ঢাকাশুক্রবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  1. Global News
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-বিচার
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. কৃষি-সংবাদ
  10. খেলা-ধুলা
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাত্রা
  13. ধর্ম
  14. প্রবাস প্রযুক্তি
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দপ্তর এবং সব সম্পত্তি জব্দ করে ১৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে -জর্দান সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এপ্রিল ২৫, ২০২৫ ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- জর্দান সরকার বুধবার দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং সংগঠনটির সব সম্পত্তি ও দপ্তর জব্দ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজেন ফারায়া জানান, সংগঠনটির সদস্যদের একটি ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মুসলিম ব্রাদারহুড, যারা জর্দানে বহু দশক ধরে বৈধভাবে কাজ করে আসছে এবং শহরাঞ্চলে ব্যাপক জনসমর্থন ও অনেক অফিস রয়েছে, এই বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি।
গত সপ্তাহে জর্দান ঘোষণা করে, তারা মুসলিম ব্রাদারহুডের ১৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। সরকার বলেছে, তারা লেবাননে প্রশিক্ষণ ও অর্থ সহায়তা পেয়েছিল এবং জর্দানে রকেট ও ড্রোন দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করছিল। ২০২৪ সালের এক ব্যর্থ ষড়যন্ত্রের পেছনেও মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে দেশটি।
ফারায়া বলেন, এই সংগঠনের সব কার্যক্রম এখন থেকে নিষিদ্ধ থাকবে এবং কেউ এর আদর্শ প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ব্রাদারহুডের নাম ব্যবহার করে কিছু প্রকাশ করাও নিষিদ্ধ এবং তাদের সব অফিস ও সম্পত্তি বন্ধ ও জব্দ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, পাবলিক প্রসিকিউটরের নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী মুসলিম ব্রাদারহুডের বহু অফিসে হানা দেয় এবং দলিলপত্র খোঁজ করতে শুরু করে। অনেক অফিস থেকে কাগজপত্র সরানো বা ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
মুসলিম ব্রাদারহুড, যা আরব বিশ্বের প্রাচীন ও প্রভাবশালী ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর একটি, অভিযোগ অস্বীকার করেছে তবে স্বীকার করেছে যে কিছু সদস্য নিজ উদ্যোগে অস্ত্র পাচারের সাথে জড়িত হতে পারে, বিশেষত অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য।
সংগঠনটির বিরোধীরা একে একটি বিপজ্জনক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে মুসলিম ব্রাদারহুড দাবি করেছে, তারা বহু দশক আগেই সহিংসতা ত্যাগ করেছে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইসলামপন্থী দর্শন প্রচার করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ খাইর রাওয়াশদে বলেন, “আজ আর মুসলিম ব্রাদারহুড নামে কোনো ব্যানার নেই। এটি রাষ্ট্র ও ব্রাদারহুডের মধ্যে বহু দশকের টানাপোড়েনের ‘চূড়ান্ত বিচ্ছেদ’।”
তিনি আরও বলেন, সরকারের তরফ থেকে সংগঠনটি নির্মূল করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখা (IAF) গত সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে সংসদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক গ্রুপে পরিণত হয়েছিল, যদিও অধিকাংশ আসন সরকারপন্থীদের দখলে। এ দলের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং দলিল জব্দ করা হয়েছে, যা দলটিকে বিলুপ্ত করার পূর্বাভাস হতে পারে বলে এক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
IAF প্রধান ওয়াল সাক্কা দাবি করেন, তারা মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত নয় এবং তারা একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে আইন মেনে চলে।
প্রতিবেশী অনেক দেশের মতো জর্দানও গত দুই বছরে রাজনৈতিক ইসলামকে নিয়ন্ত্রণে কঠোর হয়েছে এবং সংগঠনটির কিছু কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে ও সরকারের সমালোচক অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, গত চার বছরে জর্দান সরকার বিরোধী দল ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে একাধিক আইন ব্যবহার করছে।

In addition to creating news on this site, we collect news from various news sites and publish it with relevant sources. Therefore, if you have any objections or complaints about any news, you are requested to contact the authorities of the relevant news site. It is illegal to use news, photographs, audio and video from this site without permission.
আন্তর্জাতিক সর্বশেষ