
কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার পর বৃহস্পতিবার ভারতের বিভিন্ন শহরে তীব্র জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে। আহমেদাবাদে বিক্ষুব্ধ মানুষজন রাস্তায় নেমে আসে, পাকিস্তানের পতাকা বহনকারী কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং স্লোগানে মুখরিত করে তোলে গোটা শহর।
বিক্ষোভকারীরা “ইসলামী সন্ত্রাসবাদের ধ্বংস হোক” লেখা পোস্টার বহন করে এবং কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে।
এই প্রতিবাদ পহেলগামের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পরপরই সংগঠিত হয়, যেখানে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনাকে ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে। আহমেদাবাদের একটি বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, “এই হামলা শুধু নিরীহ পর্যটকদের হত্যা নয়, এটি ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। এর কঠোর জবাব দিতে হবে।”
অনেকেই দাবি জানান, পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক স্তরে বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কড়া কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
কাশ্মীরের এই হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে একমাত্র স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং ইন্দাস নদী চুক্তি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
এই হামলার বিরুদ্ধে জনমনে যে ক্ষোভ জমেছে, আহমেদাবাদের এই বিক্ষোভ ছিল তার প্রতিচ্ছবি। ভারতজুড়ে আরও বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।