
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক বিমান হামলার মুখে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) জানিয়েছে, শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ১৯,০০০-এর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
শুক্রবার উত্তরের বেইত লাহিয়া অঞ্চলে তীব্র বিমান হামলার পর বহু ফিলিস্তিনি শুধুমাত্র ন্যূনতম জিনিসপত্র নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। IOM জানিয়েছে, অনেকেই “শুধু পরনের কাপড় নিয়ে” পালাতে বাধ্য হয়েছেন এবং বর্তমানে গাজার কোথাও নিরাপদ স্থান নেই।
প্রায় পুরো গাজা উপত্যকার জনগণ ইতোমধ্যেই একাধিকবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ইসরায়েল ক্রমাগত নতুন নতুন এলাকায় জোরপূর্বক স্থানান্তরের নির্দেশ জারি করছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ‘অপারেশন গিডিয়নের রথ’ (Operation Gideon’s Chariots) নামে নতুন এক সামরিক অভিযান শুরু করেছে, যার লক্ষ্য হলো গাজা যুদ্ধে পূর্ণ বিজয় অর্জন, অপহৃতদের মুক্ত করা এবং হামাসকে পরাজিত করা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৩,১১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২০,২১৪ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারী মিডিয়া অফিস বলেছে, ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া হাজারো মানুষ এখনো নিখোঁজ, ফলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেছেন, “গত সপ্তাহের হামলার তীব্রতা আরও বড় আকারের সামরিক অভিযানের শঙ্কা তৈরি করেছে। আমরা সব পক্ষকে, বিশেষ করে যেসব দেশগুলোর সরাসরি প্রভাব রয়েছে, তাদের প্রতি আহ্বান জানাই যেন অবিলম্বে এই আক্রমণ বন্ধ করা হয়।”
১১৫ জন নিহত শুক্রবার থেকে
১৯,০০০ জন বাস্তুচ্যুত বৃহস্পতিবার থেকে
৬১,৭০০ এর বেশি মোট মৃত, বহু নিখোঁজ
ইসরায়েলের নতুন সামরিক অভিযান: “অপারেশন গিডিয়নের রথ” জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি: বৃহত্তর হামলার আশঙ্কা