
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। সোমবার পিটিআইয়ের দলীয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে একই ধরনের অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বিরোধী জোট। সেই প্রস্তাব এনেছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) শীর্ষ নেতা শেহবাজ শরিফ।
বর্তমানে শতাধিক মামলার আসামি হিসেবে পাঞ্জাবের আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন ইমরান খান। তবে আদালতের অনুমতিতে তিনি নিয়মিতভাবে দলের নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
পিটিআইয়ের সূত্র জানায়, সম্প্রতি কারাগারে ইমরান খান তার আইনজীবী দল, দলের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং নিজের বোনদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এরই মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া ভিত্তিক রাজনৈতিক দল মিল্লি আওয়ামী পার্টির শীর্ষ নেতা মাহমুদ খান আচাকজাই পাকিস্তানের স্পিকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। বিষয়টি ইমরান খান কারাগার বৈঠকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন এবং তার দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন, তারা যেন পিএমএলএনের সঙ্গে কোনো জোটে না যায় এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও ঐক্য গড়ে তোলে।
ইমরান খান আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে সারাক্ষণ চাপে রাখতে হবে।
এ বিষয়ে পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার জানান, অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়টি দলীয়ভাবে বিবেচনাধীন। তিনি বলেন, “ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে আমরা এখন কিছুটা নীরব রয়েছি। কারণ এখনই পদক্ষেপ নিলে জনমনে মনে হতে পারে, আমরা সংকটের সুযোগ নিচ্ছি।”