
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারসহ কর্মকর্তাদের লাগামহীন দুর্নীতি
মো নাহিদুর রহমান শামীম মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
লাগামহীন দুর্নীতি করে দায়িত্ব পালনের সময়
ডা: মো : জহিরুল করিম উপ পরিচালক ও মো আবদুল করিম মিয়া প্রধান হিসাব রক্ষক, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র এবং মামাতো ভাই মো ইসরাফিল হোসেন, মো শামীম হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আসরাফ সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) বর্তমানে। তৈরি থেকে এখন পযন্ত বিশেষ করে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সরকার অর্থ নিজের মতো ঘরে তুলেছেন।
জাহিদ মালেক স্বপনের বাবার নামে হাসপাতাল তৈরি করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পিএসকে টাকা দিলেও তার তিন গুন টাকা তুলে নিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
বিভিন্ন টেন্ডার থেকে শুরু করে ভিন্ন জায়গায় তাদের ছিলো প্রভাব, ততকালীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থাকায় খুব সহজে এই কাজ গুলি করে থাকতেন মেডিক্যালের প্রধান দুই কর্মকর্তা ডা. জহিরুল করিম আর হিসেবে রক্ষক করিম মিয়া।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নাম করণ হয় ৫ মাস হলো, কিন্তু পূর্বে তা নাম ছিলো কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
মানিকগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব জাহিদ মালেক স্বপন যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রাথী হয়ে নির্বাচনে জয় হয়ে সংসদ সদস্য হন এবং
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পায়, মো: জাহিদ মালেক স্বপন, তাই হাসপাতালের টেন্ডার তার ভাইকে দিয়ে দেয় মো ইসরাফিল হোসেন উপ-পরিচালক ও হিসাব রক্ষক কে নিয়ে কাজ পরিচালনা করেন, মো রাহাত মালেক শুভ্র।
সরকারি দাম হিসেবে মাটি ভরাটের দর ছিল ৭.৫০ পয়সা ফুটে কিন্তু তা ফেলা হয় ৫.৫০ পয়সা ফুটে, এই দায়িত্ব ছিলো মো শামীম হোসেন ( জাগীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি) ও আসরাফ সরকার ( সাবেক চেরম্যান) গড় পাড়া। হিসাবের কাজ করতো আবদুল করিম মিয়া।
উপ-পরিচালকের দায়িত্ব ছিলো বিল পাঠানো।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিন বার রুগীদের বেড আসে প্রথম আবস্থাতে ২৫০ এবং শেষ ৫০ টি, মাঝে ১০০ বেডের টাকা এবং অন্যান জিনিস সব নিয়ে যাওয়া হয়, শুরু থেকে কাজ করা মাসুদ নামের এক ওয়াড বয়ের কাজ থেকে জানা যায়,, মাটি রাতে পরতো ৮০ ট্রাক বাকি ১০ টাক যেতো ইসরাফিলের বাসায়, এবং বাকি ১০ টাক ভিন্ন নেতার বাসায়, পাথর, বালু, সিমেন্ট, লোহা, সব ভাগ হতো এমন কি টালছ,ইত্যাদি সব ভাগ করে দেওয়া হতো।
কিছু মালামালের হিসাব লোহা ৫মিলি আসে ৭০ টন, ৮মিলি আসে ৭০ টন, ৩মিলি আসে ১০০টন, ১০ মিলি আসে ২৭টন, পাথর বড় আসে ৩০ গাড়ি, ছোট ৮০ গাড়ি, কুচিপাথর ৬০ গাড়ি, টাইলস ২” ৬” ও ৮” মোট ৪০০০পিচ এছাড়াও রুগীর বেড বিছানা এবং বালিশ আসে ৬০০পিচ কোরনার সময় ঔষধ ও বেড আসে২০ টি যা একটি ও তখন হাসপাতালে ঠুকেনি।
হিসাব রক্ষক ঠিকঠাক হিসাব কষে ছিলেন, প্রায় ৪ কোটি টাকা নিজের করে নেওয়া মো ইসরাফিল হোসেনের সাথে তার সমস্যার সৃষ্টি হয়, ঐ কারণে তাকে অন্য জায়গা বদলি করে, কিছু গনমাধ্যম যানে হাসপাতালে জিনিস পথ্য ভিন্ন টেন্ডার ভাগের কারণে মো ইসরাফিল হোসেনের সাথে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু না, সাবেক মন্ত্রীর বাগান বাড়ি এই ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে সবকিছু ছিল সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে, উপ-পরিচালক ও হিসাব রক্ষক সরকারি টাকা নিজের মনে করে তুলে দেন।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক চিকিৎসক ও নার্স জানান, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ২০২০ সালের দিকে আব্দুল করিম নানা ধরনের অপকর্ম করেছেন। তাঁর যন্ত্রণায় অতিষ্ট ছিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় সকল চিকিৎসক ও নার্স। হিসাব রক্ষকের দায়িত্বে থেকে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ পক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁর পছন্দের ঠিকাদারদের বড় বড় কাজ পাইয়ে দিতেন তিনি। দুর্ণীতির প্রমান হওয়ায় যাকে হাসপাতাল থেকে বদলী করা হয়েছে তাকে আমরা এই হাসপাতালে চাই না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হিসাব রক্ষক কর্মকতা আব্দুল করিম বলেন, আমি কখনো আওয়ামীলীগ করিনি। চাকরির সুবাদে কতৃপক্ষ আমাকে যেখানে বদলী করেছে আমি সেখানে গিয়ে সুনামের সাথে চাকরী করেছি।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা যেসকল দুর্নীতির অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি সুবিধাবাদি চক্র যারা আমার খারাপ চায় তাঁরা চক্রান্ত করে বিভিন্ন ভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আব্দুল করিমের যোগদানের প্রজ্ঞাপন আমি পেয়েছি। কিন্তু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে প্রভাবখাটানো সহ নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বিএনপি, ড্যাব, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা চাচ্ছেননা তিনি যোগদান করুক। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি আমার উর্দতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। খুব দ্রুত থাঁর বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পরিচালক (প্রশাসন) ও পরিচালক এর সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে একাদিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।