
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনি বিজয় অর্জন করেছে। একটি ফেডারেল আদালত জানিয়েছে, অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (ICE) গির্জা এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে অভিযান চালাতে পারবে—ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এই রায় দিয়েছেন বিচারক।
ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল বিচারক ড্যাবনি ফ্রিডরিখ, যিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত, এক রায়ে বলেন, আইসির এই নীতির বিরুদ্ধে যেসব খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আপত্তি জানিয়েছিল, তাদের অনুরোধ আদালত গ্রহণ করেনি। তারা অভিযোগ করেছিল, এ ধরনের অভিযান ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে এবং অভিবাসী অনুসারীদের মধ্যে ভয় তৈরি করছে, যার ফলে উপাসনায় অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে।
তবে বিচারক জানান, উপাসনালয়গুলোতে ICE-এর অভিযান চালানোর পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আদালত উল্লেখ করে, এই ধরনের অভিযান খুবই সীমিত এবং সংখ্যায় অল্প। ফ্রিডরিখ আরও বলেন, আগের নীতি ফিরিয়ে আনা হলেও উপাসনালয়ে উপস্থিতির হার বাড়বে এমন গ্যারান্টি নেই, কারণ অভিবাসন আইন বাস্তবায়নের বৃহত্তর প্রভাব এখনও বিদ্যমান।
🔶 আদালতের ভিন্নমত ও অন্যান্য মামলা
যদিও এই মামলায় ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে রায় গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যে এ বিষয়ে ভিন্নমত দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, মেরিল্যান্ডের একটি ফেডারেল আদালত কোয়াকার ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য উপাসনালয়ে ICE-এর কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, কলোরাডোতে একটি মামলায় আদালত স্কুলে অভিবাসন কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়েছে।
এইসব মামলার ফলে স্পষ্ট হচ্ছে, ‘সংবেদনশীল স্থান’ হিসেবে চিহ্নিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিবাসন অভিযান চালানো নিয়ে মার্কিন বিচারব্যবস্থায় মতবিরোধ রয়েছে এবং এই বিষয়টি এখনও আদালতগুলোতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে