
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক বন্দুক হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও প্রস্তুত থাকার তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যুদ্ধ সমর্থন করি না, কিন্তু যুদ্ধ আমাদের ঘিরে রেখেছে। এমন একটি বিশ্বে বাস করছি যেখানে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি রয়েছে। তাই প্রস্তুতি ছাড়া বসে থাকা আত্মঘাতী।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত–পাকিস্তানে যখন যুদ্ধের মতো অবস্থা চলছে, তখন বাংলাদেশকেও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে। আধা–আধা প্রস্তুতি নিয়ে হবে না, সর্বোচ্চ প্রস্তুতি প্রয়োজন। এতে জাতির সাহস বাড়বে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মও উৎসাহ পাবে।”
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, “বিগত সরকারের লুটপাটের কারণে অর্থনীতি এখন দুর্বল। এ অবস্থায় আমাদেরকে সমন্বিতভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
বিমান বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্মনির্ভরতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারা। সরকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পেশাগত কারিগরি সক্ষমতা বজায় রাখতে হবে।”
তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা একটি উন্নত, শক্তিশালী বাংলাদেশ গঠন করব।”
এই প্রেক্ষাপটে সরকার এবং সামরিক বাহিনীকে সমন্বিতভাবে সচেতন ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও।