
আফগানিস্তান তার প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নীতকরণকে স্বাগত জানিয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা হ্রাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার জানান, আফগান রাজধানী কাবুলে নিযুক্ত চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের পদমর্যাদা রাষ্ট্রদূতে উন্নীত করা হবে। পরে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারও ঘোষণা করে যে, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে নিযুক্ত তাদের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূতের পদে উন্নীত হবেন। উল্লেখ্য, কোনো দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত অনুপস্থিত থাকলে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স প্রধান দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানায়, “আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্বের এই উন্নয়ন বহু ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে।” মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়া আহমাদ তাকাল জানান, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি “আগামী কয়েক দিনের মধ্যে” পাকিস্তান সফর করবেন।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এখন পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি দেশ – যার মধ্যে চীন রয়েছে – তালেবান সরকারের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছে, যদিও এখনো কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি। চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উজবেকিস্তানের পর পাকিস্তান হচ্ছে চতুর্থ দেশ যারা কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত মাসে রাশিয়াও জানায়, তারা তালেবান সরকারের রাষ্ট্রদূতকে স্বীকৃতি দেবে, এমনকি এর কয়েকদিন আগেই তারা তালেবানকে “সন্ত্রাসী” তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং পাকিস্তান থেকে হাজার হাজার আফগান শরণার্থী ফেরত পাঠানোর অভিযানের কারণে উত্তপ্ত ছিল।
পাকিস্তান অভিযোগ করে যে, আফগান ভূমি ব্যবহার করে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালায়। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, এ ধরনের সহিংসতা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডার শুক্রবার জানান, গত মাসে কাবুল সফরের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। গত সপ্তাহে তিনি মুত্তাকি এবং তাদের চীনা সমকক্ষ ওয়াং ই’র সঙ্গে বেইজিংয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন।
ওই বৈঠকের পর চীন জানায়, তারা “আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।