
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় আগ্রহী, তবে তার আগে প্রতিনিধিদলগুলোর সরাসরি আলোচনায় একটি নির্দিষ্ট ও ফলপ্রসূ অগ্রগতি অর্জিত হওয়া দরকার — শুক্রবার রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এমনটাই জানিয়েছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন ব্যক্তিগতভাবে (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির) জেলেনস্কি এবং (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্প—উভয়ের সাথেই বৈঠকের সম্ভাবনাকে সমর্থন করেন, তবে এরকম যোগাযোগের জন্য ভালো প্রস্তুতি প্রয়োজন,” — রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা RIA Novosti-কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্রেমলিন আশা করছে, ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফার আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের খসড়া সমঝোতা স্মারকগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এই পর্যায়ে রাশিয়ার প্রস্তাবের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে না।
সাম্প্রতিক নিরাপত্তা বিষয়গুলো নিয়ে পেসকভ জোর দিয়ে বলেন, “ইউরোপীয় নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ অবশ্যই ইউরোপীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্ধারিত হবে,” তবে ইস্তাম্বুলের আলোচনাগুলো কেবল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, রাশিয়া লক্ষ্য করছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো—বিশেষ করে ন্যাটো সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো—বুঝতে শুরু করেছে। এটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে মস্কো।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনা ২ জুন ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে তারা একটি আলোচনা পর্বে অংশ নিয়েছিল, যেখানে এক হাজার বন্দী বিনিময়ের পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়।
গত ১৬ মে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তিন বছর পর রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনায় বসে। সেই আলোচনায় উভয় পক্ষই ১,০০০ জন করে বন্দী বিনিময়ে সম্মত হয় এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে।