
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (যুগ্মসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেছেন, অসৎ চক্র হীন উদ্দেশ্য হাসিল করতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছে। কোন ক্রমেই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা উচিৎ নয়।
আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক আরো বলেন, সম্প্রতি জনকণ্ঠ অনলাইনসহ কিছু নামসর্বস্ব অনলাইন গণমাধ্যমে “ভাগ্নেকে চাকরি দিতে চুরির অপবাদ দিয়ে সহকর্মীকে চাকরিচ্যুত” শিরোনামে একটি বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একটি কুচক্রী মহল ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, এবং এই সংবাদ তারই অংশ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তাই আমি আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর প্রকৃত সত্য তুলে ধরছি।
প্রথমত, প্রতিবেদনে আমাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।
দ্বিতীয়ত, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ভাগ্নেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন। আমার কোনো আত্মীয়ই কপিরাইট অফিসে কর্মরত নেই। উপরন্তু, কপিরাইট অফিসে আউটসোর্সিং এর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। কে চাকরি পাবে বা চাকরিচ্যুত হবে, তা নির্ধারণ করে সেই প্রতিষ্ঠান। এখানে আমার কোনো ভূমিকা নেই।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মরত ওয়াসিম নামে এক লিফটম্যানের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ওঠার পর রেজিস্ট্রার মহোদয়ের নির্দেশে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যার একজন সদস্য হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করি মাত্র। তদন্তে চুরির প্রমাণ পাওয়া গেলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী তাকে চাকরিচ্যুত করে। এখানে আমার কোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বা প্রভাব নেই।
তৃতীয়ত, একজনের কপিরাইটের স্বত্ব অন্যের নামে করে দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কপিরাইটের চূড়ান্ত অনুমোদন বা অননুমোদনের ক্ষমতা কেবল রেজিস্ট্রার মহোদয়ের। আমি কখনোই অফিসে দাপট দেখানোর মতো আচরণ করিনি এবং সরকারি কর্মচারী হিসেবে সুশৃঙ্খলভাবে চাকরিবিধি অনুসরণ করেছি। যার অবদান হিসেবে আমি শুদ্ধাচার পুরস্কারও পেয়েছি।
শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা-গল্প লেখার অভিযোগও মিথ্যা। টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে যাওয়ার বিষয়টিও ভ্রান্ত। আমি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে কর্মকালীন সময়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশে পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলাম। সেটিই ছিল আমার একমাত্র সফর।
আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতেই আমি সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেছি। কারো তদবির বা রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে নয়। অফিসে কখনো রাজনৈতিক চর্চা করিনি এবং আউটসোর্সিংয়ের নিয়োগে আমার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেই।
একটি অসৎ চক্র তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিল করতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে। উল্লেখ্য, আমার কাছে কোনো গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ফোন বা সরাসরি সাক্ষাৎকার নেননি। শুধুমাত্র একজন সাংবাদিক পরিচয়ে মেসেজ পাঠিয়ে মতামত চাইলে আমি উক্ত সংবাদের বিষয়ে জানতে চাই। কিন্তু তিনি আর যোগাযোগ না করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন।
এই ধরনের মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পেশাদার সাংবাদিকতার নীতিমালার চরম লঙ্ঘন। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আমি দেশের প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।