
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে দু’পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। উক্ত ঘটনাটি শনিবার সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘটিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বোমের আঘাতে দুই-জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক ও গুরুতর আহত বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষ শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। অনেককে হাতে বালতি নিয়ে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। তারা বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করছে, যা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। হঠাৎ করে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বোমার শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে উঠছিল। আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারিনি।”
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বিরোধের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তারা প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল আখন্দ দ্যা ডেইলি গ্লোবাল ন্যাশনকে বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।