
আদালতের আদেশ ১৪৪ ধারা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল ও বাদীকে একঘরে করে মারধর করার হুকুম দিলেন স্থানীয় গ্রাম্য মাতবার সালিশরা।
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দী ইউনিয়ন ৬নং ওয়াডের উমরদ্দীন মাদবর কান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত বাদী মো. ফজলুল হক মোল্যা (৪৬) পিতা অহেদালী মোল্যার মৃত্যুর পর পিতার সহায়-সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজস্ব জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তাকে বাঁধা দেন। আসামি পক্ষ মোতালেব মোল্যা ইউনুস মোল্যা গং। দীর্ঘ ছয় মাস যাবত বিভিন্ন সময় গ্রাম্য বিচারের মাধ্যমে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে এ নিয়ে জাজিরা থানায় বেশ কয়েক বার অভিযোগ করলেও হয়নি কোন সমাধান।
পরবর্তীতে ফজলুল হক মোল্যা তাঁর পিতার অংশের জমি ভোগদখল করতে গেলে, তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের সেখানে মারধর করে, এবং বিভিন্ন হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ৩২ শতাংশ জমির মাটি কেটে বিক্রি করে মোতালেব মোল্যা ও আতাহার মোল্যা। এতে নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেন ফজলুল হক মোল্যা ও তার পরিবার।
গত (১৬ এপ্রিল) শরীয়তপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা মিস পিটিশন ২০১৫ দায়ের করেন মো. ফজলুল হক মোল্ল্যা। আদালতের আদেশকৃত নোটিশ ঘোষণা করেন। জাজিরা থানার পুলিশ, উক্ত জমি গুলোতে আদালতের আদেশ অনুযায়ী আগামী ২৭ দিন পর্যন্ত সকল প্রকার চাষাবাদ ও দখল মুক্ত করেন আদালত।
কিন্তু আসামি পক্ষ মোতালেব মোল্যা ও তাঁর সঙ্গে থাকা জোরপূর্বক জমি দখলকারী ১০ থেকে ১৫ ও গ্রামের মাদবর সালিশারা এই আদেশ অমান্য করে এবং জোরপূর্বক জমি দখল ও মামলার বাদীকে মারধর করার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় মাতবার সালিশরা।
এবিষয় জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দুলাল আকন্দ বলেন আদালতের আদেশ অনুযায়ী গত ২০ এপ্রিল বিকেলে বাদীপক্ষ ও বিবাদী পক্ষের কাছে ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করেন এবং মামলাকৃত জমিতে কোন প্রকার কার্যক্রম করতে নিষেধ করেন। যদি কেউ আদালতের আদেশ অমান্য করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।